নিয়ন্ত্রণহীন পন‍্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত‍্যু পথচারীর : সজোরে ধাক্কা সরকারী বাসেও

20th October 2020 10:01 am বর্ধমান
নিয়ন্ত্রণহীন পন‍্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত‍্যু পথচারীর : সজোরে ধাক্কা সরকারী বাসেও


সুব্রত চক্রবর্তী ( মেমারী ) : নিয়ন্ত্রণহীন পন‍্যবাহী ছোটো গাড়ির ধাক্কায় মৃত‍্যু হল এক পথচারীর । ঘটনার সাথে সাথেই গাড়ির দ্রুতবেগ থাকায় ঘুরে গিয়ে সজোড়ে ধাক্কা লাগে এক ই সময়ে অতিক্রম করা সরকারী বাসের গায়ে । ক্ষতিগ্ৰস্থ হয় সরকারী বাসটির একাংশ । যদিও বাসের যাত্রীদের কারো কোনো ক্ষতি হয় নি । ছোটো গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায় । ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর গন্তার এলাকায় । মেমারী সাতগাছিয়া রাস্তায় দীর্ঘক্ষন বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল । উভয়দিকেই দাঁড়িয়ে পরে শয়ে শয়ে অন‍্য যানবাহন । মেমারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুটি গাড়িকে উদ্ধার করে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক করে । মৃত ব‍্যক্তির নাম রবি ক্ষেত্রপাল জানা গেছে । বাড়ি কাশীরামপুর এলাকায় । 

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে , রবি ক্ষেত্রপাল একটি গরু নিয়ে হেঁটে রাস্তার ধার দিয়ে মগড়া হাটের দিকে যাচ্ছিলেন । সে সময় মেমারী থেকে সাতগাছিয়া অভিমুখে আসা পন‍্যবাহী গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে পিছন থেকে সজোড়ে ধাক্কা মারে । এক ই সময়ে কাটোয়া থেকে মেমারী হয়ে কলকাতা যাওয়ার দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস যাত্রী নিয়ে আসছিল । ছোটো গাড়িটি ধাক্কা দিয়েই ব্রেক কষার ফলে গাড়িটি ঘুরে গিয়ে সরকারী বাসের গায়ে ধাক্কা মারে । সরকারী বাসটির একাংশ ক্ষতিগ্ৰস্থ হলেও যাত্রীরা বেঁচে যান । রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারী রবি ক্ষেত্রপালকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান । ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । মহাচতুর্থীর সকালে পথ দুর্ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ ও প্রকাশ করেন স্থানীয়রা যানবাহনের বেপরোয়া গতিবেগ নিয়ে । অত‍্যন্ত ব‍্যস্ততম এই এলাকা দিয়ে যেভাবে সারাদিন যানবাহন যাতায়াত করে তার গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী বলেই দাবী সকলের । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।